রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এখন সুদানে অবস্থান করছেন। বৃহস্পতিবার সুদানের কর্মকর্তাদের সাথে তার সাক্ষাতের কথা ছিল। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়া এমন সময় আফ্রিকায় প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে যখন, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মস্কোকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে।
সুদানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সুনা জানিয়েছে, দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিশেষ করে অবকাঠামোতে সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে লাভরভ বুধবার শেষ বেলায় খার্তুমে পৌঁছান। এর আগের মাসগুলোতে লাভরভ ইরাক, মৌরিতানিয়া এবং মালি সফর করেন। গত সপ্তাহে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেছিলেন।
২০২১ সালে পশ্চিমা-সমর্থিত একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সুদানের সামরিক নেতারা উৎখাত করেন। এরপর সুদানকে বিলিয়ন ডলার আন্তর্জাতিক অর্থায়ন থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়।
লাভরভকে গ্রহণ করার একই সময়ে সুদান চলতি সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের দূতদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। পশ্চিমা এই দেশগুলো সুদানে একটি নতুন গণতান্ত্রিক বেসামরিক সরকার গঠনের আলোচনাকে সমর্থন করছে।
সুদানের মিলিটারি গভর্নিং কাউন্সিল অতীতে রাশিয়াকে লোহিত সাগরের উপকূলে একটি নৌঘাঁটি খোলার অনুমতি বিবেচনা করার কথা জানিয়েছিল। এটি একটি কৌশলগত অঞ্চল যেখানে উপসাগরীয় দেশ এবং তুরস্ক প্রভাবের জন্য লড়াই করে।
এই সফরে লাভরভের এজেন্ডায় কী আছে আল জাজিরা তাৎক্ষণিকভাবে তা জানতে পারেনি। খার্তুম থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি হিবা মরগান বলেছেন, লাভরভের পরিকল্পিত সফরটি গত কয়েক বছরে সুদান এবং রাশিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের অংশ।
পশ্চিমা দেশগুলো আফ্রিকার সাহেল এবং এর সীমান্ত অঞ্চলে রাশিয়ার প্রভাব বিস্তার নিয়ে উদ্বিগ্ন।